বিয়ের পর দিন নববধূর ঝুলন্ত লাশ, হতভম্ব বর
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই নবদম্পতি। পরদিন সকাল ৭টায় নানী খুরশিদা বেগমের চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে দেখে নববধূ সিঁড়ির রুমে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিছুক্ষণ পর নতুন জামাই ঘুম থেকে উঠে এমন অবস্থা দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন।
রোববার (২৮ জুলাই) ওই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। শুক্রবার তাদের বিয়ে হয়েছিল।
নিহত নববধূর নাম সাহিদা আক্তার। সে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কটপাড়া গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী মিজানুর রহমানের মেয়ে। সাহিদা স্থানীয় কাদৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর বর হলেন লালমাই উপজেলার মিতল্লা গ্রামের প্রবাসী ফারুক মিয়ার ছেলে আল আমিন।
জানা গেছে, আল আমিনের সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে শুক্রবার সাহিদা আক্তারের বিবাহ সম্পন্ন হয়। শনিবার আল আমিনের বাড়িতে বৌ-ভাত অনুষ্ঠান শেষে স্বজনরা সাহিদাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ওইদিন রাতেই নতুন জামাই আল আমিন শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে রাতের খাবার খেয়ে নবদম্পতি ঘুমিয়ে পড়ে। তবে রোববার (২৮ জুলাই) সকালে ঘটে অবাক করা কান্ড। নানী খুরশিদা বেগমের চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে দেখে-সাহিদা সিঁড়ির রুমে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিছুক্ষণ পর নতুন জামাই আল আমিন ঘুম থেকে উঠে এমন অবস্থা দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন।
সাহিদা আক্তারের স্বামী আল আমিন গণমাধ্যমে বলেন, শনিবার রাতের খাবার শেষে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, সাহিদা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত দুই দিনে আমাদের মাঝে কোনো ধরনের বাকবিতণ্ডা হয়নি। সে বিয়ের দিন থেকে চুপচাপ ছিল।
সাহিদার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে মা মারা যান। এরপর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মা মুন্নি বেগম বোনকে বিয়ে দেন। এ বিয়েতে বোনের মত ছিল না।
মুন্নি বেগম বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, সাহিদা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এএম/