আইন-বিচার

বেনজীরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক, শুনানি আজ

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)। বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য যে কমিটি দুদক গঠন করেছিল, তারা একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছে।

এ বিষয়ে আজ সোমবার (২৯ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেনজীর আহমেদের নামে মোট ৯ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৫ টাকা মূল্যের, তার স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে মোট ২১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৩ টাকা মূল্যের, জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৬ টাকা মূল্যের এবং মেজো কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীর এর নামে মোট ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য যে, স্থাবর সম্পদের দলিলে প্রদর্শিত মূল্য এখানে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সম্পদের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করা গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মূল্য আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুদক জানায়, অগ্রগতি প্রতিবেদনে তারই তথ্য মিলেছে। বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গেলো ২২ এপ্রিল কমিটি গঠন করে দুদক। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে গেলো ২৩ এপ্রিল থেকে টাকা সরাতে থাকেন সাবেক এই আইজিপি। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা তোলেন বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা ও মেয়ে ফারহিন রিসতা।

সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অনুসন্ধান শুরুর পর বেনজীরের টাকা সরিয়ে নেয়া এবং টাকা তোলার তৎপরতা প্রমাণ করে তার অপরাধপ্রবণ মানসিকতা।

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন