আন্তর্জাতিক

কলকাতা বিমানবন্দরে স্বাভাবিক ফ্লাইট কার্যক্রম, অন্ডাল এখনও জলমগ্ন

দুইদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভারতের কলকাতা নেতাজী সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে এখনও পানির তলে। স্রোতের মতো এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছে পানি। বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার সারাদিন লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। এতে কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়েতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

আনন্দবাজারসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রানওয়েতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও কলকাতা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো সময় মতোই উড়ে গেছে।  তবে জলমগ্ন বিমানবন্দরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। বিমানবন্দরে যাওয়ার রাস্তায় তীব্র যানজট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সময় নিয়ে বেরোনোর জন্য যাত্রীদের অনুরোধ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে,ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কলকাতা বিমানবন্দরের ফ্লাইটগুলো স্বাভাবিক থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের অন্ডলায় অবস্থিত কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর এখন বিমান চলাচলের জন্য স্বাভাবিক হতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। ডুবে যায় রাস্তাঘাট, সেতুও। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি জমতে শুরু করে। শুক্রবারও বৃষ্টি হওয়ায় কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এতে এখনও স্বাভাবিক হয়নি বিমান চলাচল। একাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বোলছে, নতুন করে বৃষ্টির পানি না জমলে রোববার থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে সেখানে।

আনন্দবাজারসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবন্দরে পানি থাকায় শুক্রবার সারাদিন বিমান চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। রানওয়ে থেকে শুরু করে বিমানবন্দরের প্রবেশের সড়কসহ সব জায়গায় পানি দাঁড়িয়েছিল। উড়োজাহাজ ওঠানামা করার মতো পরিস্থিতি সেখানে ছিল না। এমতাবস্থায় বিমান কর্তৃপক্ষ শুক্রবারের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। শনিবারও বাতিল করা হয় একাধিক ফ্লাইট।

কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর। এটি উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। দার্জিলিং বা সিকিমে ঘুরতে গেলেও এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এ ছাড়া, অন্ডাল থেকে মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাইয়ের মতো শহরের বিমানও ছাড়ে এই  বিমানবন্দর  থেকে।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন