আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মরিয়ম মান্নান ও তার পরিবারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

আলোচিত মরিয়ম মান্নান, তার মা রহিমা বেগম ও পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি জানান অপহরণ মামলায় গ্রেফতার পাঁচজনের পরিবার। একই সঙ্গে রহিমার ‘পরিকল্পিতভাবে নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনায় করা হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতারদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানান তারা।

আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ‘ভুক্তভোগীদের পরিবার’ ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

গ্রেফতারদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, মরিয়ম মান্নান ও তার পরিবার পরিকল্পিতভাবে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন। এরপর অপহরণ মামলা দিয়ে এলাকার পাঁচজনকে অন্যায়ভাবে জেল খাটাচ্ছেন। এ ঘটনায় মরিয়ম, তার মা রহিমা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা জড়িত। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা ‘রহিমা বেগমের অপহরণ নাটক’র সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গ্রেফতার মো. মহিউদ্দিনের মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন মাহি।

মালিহা মাহি বলেন, অপহরণের নাটক সাজানো রহিমা বেগম ও তার মেয়ে মরিয়মসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। রহিমার উদ্ধারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মরিয়ম মান্নানসহ তার পরিবার কথিত অপহরণের নাটক মঞ্চস্থ করেন। কিন্তু আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত যে, অপরাধ করেও পুলিশ প্রশাসনসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদেরকে এখনও পর্যন্ত তারা হয়রানি ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন।

মালিহা মাহি আরও বলেন, নিখোঁজের ২৯ দিন পর রহিমাকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন প্রশাসন। উদ্ধারের সময় তার কাছ থেকে ব্যবহারের যেসব কাপড়-চোপড়, ওষুধ ও প্রসাধনীসামগ্রী উদ্ধার করা হয়, তা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে যে, তিনি অপহরণ নাও হতে পারেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, রহিমা বেগম ফরিদপুরে যে এলাকায় ছিলেন, সেখানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জন্মনিবন্ধন বানাতে গিয়েছিলেন। আমরা মনে করি, রহিমা বেগম নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পরিবর্তন করে ময়মনসিংহের ফুলপুরে অজ্ঞাত যে নারীর মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল, ওই মরদেহের পরিচয় দেয়ার জন্যই জন্মনিবন্ধন আনতে গিয়েছিলেন। এখান থেকে আবার নতুন করে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল।

রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গেলো ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন খানাবাড়ি এলাকার মো. মহিউদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম পলাশ, মো. জুয়েল ও হেলাল শরীফ।

আসাদ ভূঁইয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন