ড. ইউনূসকে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশে জনগণকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূসের শপথ গ্রহণকে স্বাগত জানিয়ে সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক্সে দেওয়া ওই পোস্টে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্ত থাকার ও শান্তির জন্য ড. ইউনূসের আহ্বানকে সমর্থন করে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে।
এর আগে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেচে চীন। এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘চীন দেখতে পেয়েছে যে, বাংলাদেশ একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে এবং আমরা একে স্বাগত জানাই। চীন কঠোরভাবে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণ করে। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং বাংলাদেশি জনগণের স্বাধীনভাবে নির্বাচিত উন্নয়নের পথকে সম্মান করি।
এছাড়া. ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণ প্রয়োজন মনে করলে জাতিসংঘ যে কোনো উপায়ে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক।
ফারহান হক বলেন, ‘নতুন সরকারের কাছ থেকে কী ধরনের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ আসে তা দেখা হবে। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ যেভাবে প্রয়োজন মনে করবে, আমরা অবশ্যই সেভাবে তাদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত রয়েছি।’
জাতিসংঘের উপমুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিনি দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি সক্রিয় রয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সহিংসতার বিষয়টি উল্লেখ করে ফারহান হক বলেন‘ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে যে সহিংসতা চলছে তা বন্ধ করতে চান তারা। যেকোনো জাতিগত আক্রমণ বা সহিংসতায় উসকানির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের অবস্থান বলেও তিনি জানান।
এমআর//