জাতীয়

ট্রাভেল পাস পেয়েছেন, দেশে ফিরছেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন। ছবি: ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করার পর দেশে ফিরছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (১০ আগস্ট) বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববার(১১ আগস্ট) ১১টায় দিল্লি থেকে একটি ফ্লাইটে রওনা করবেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। দুপুর ২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, দেশে ফেরার জন্য গত ৬ আগস্ট তিনি ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস পেয়েছেন।  ওইদিন মেঘালয় থেকে গণমাধ্যমে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের অফিস থেকে ট্রাভেল পাসের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ট্রাভেল পাসটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন।  ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে মেঘালয় পুলিশ তাকে আটক করে।

পরবর্তীতে বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।  সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান।  ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি খালাস পান সালাহউদ্দিন এবং আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আটক হওয়ার সময় শিলং পুলিশকে সালাউদ্দিন আহমদ জানান, গোয়েন্দা পরিচয়ে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ তাকে তার উত্তরার বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়। একটি প্রাইভেটকারে তাকে শিলং নেওয়া হয়। কিন্তু গাড়িটি কোথা থেকে ছেড়েছিল বা গাড়িতে আর কে বা কারা ছিল তা তিনি বলতে পারেননি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ যখন মেঘালয়ে আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদে ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।

২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

 

এমআর

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন