স্থায়ী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অনুমোদন পেলো আয়ারল্যান্ড
একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে ডাবলিনের ন্যাশনাল স্পোর্টস ক্যাম্পাসকে অনুমোদন দিয়েছে আয়ারল্যান্ড সরকার। এর আগে আয়ারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য সরকার অনুমোদিত কোনো স্টেডিয়াম ছিল না। এবার থেকে আর সেই প্রেক্ষাপট থাকছে না।
আগামী ২০৩০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা রয়েছে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের। সেই আয়োজন সামনে রেখে স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ হিসেবেও আয়ারল্যান্ড সরকারের এই উদ্যেগকে দেখা যেতে পারে।
এই বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনে ব্যর্থ হয় আয়ারল্যান্ড। প্রথমবারের মতো দুই দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কথা ছিল। তবে স্থায়ী হোম স্টেডিয়াম না থাকার ফলে এই সিরিজটি শেষপর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি।
ওডিআই ম্যাচ খেলার মতো ৪ টি মাঠ আছে এখন আয়ারল্যান্ডে। মাঠগুলো হচ্ছে; মালাহেড, ক্লোনটার্ফ, স্টোরমন্ট, ব্রিডি। তবে সবগুলোই ক্লাব ক্রিকেটের মাঠ হিসেবে বিবেচিত এবং আসনগুলো অস্থায়ী। অস্থায়ী অবকাঠামো থাকার ফলে সেখানে কোনো ম্যাচ আয়োজন করা বেশ ব্যয়বহুল।
গত দুই-এক বছরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডে ম্যাচ আয়োজন করেছে আয়ারল্যান্ড। এই বছরের শেষে আবু ধাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজন করবে আয়ারল্যান্ড দল। এই নতুন স্থায়ী স্টেডিয়ামটি এই সমস্যার সমাধান করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ডাবলিনে স্থায়ী স্টেডিয়াম করার পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে শেষ হবে। সবমিলিয়ে এই স্টেডিয়ামের অবকাঠামোগত কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে। এ বিষয়ে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিওট্রম বলেন, ‘আজকের ঘোষণাটি দারুণ। এটি আইরিশ ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত সবার জন্য একটি বিশাল সম্মানের ব্যাপার।‘
এম এইচ//