আপনি কি চান বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে ছবি হোক?: ফারুকী
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সাহসী ভুমিকা রেখেছেন। নিজের মত প্রকাশ করতে কাউকে ভয় করেননি। যেখানে যে অন্তরায় সবটাই সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন সেই সময়টাতে। এবার তিনি সেন্সরের বিষয়ে বিস্তারিত একটি পোস্ট তুলে ধরেছেন ফেসবুকে।
‘গাহি নো সেন্সরের গান’ এমন শিরোনামে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘আপনি কি চান বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে ছবি হোক? মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার নিয়ে ছবি হোক? আপনি কি চান গুমের মতো নিষ্ঠুর এবং অমানবিক যে কাজটা হাসিনা-জিয়াউল-তারেক সিদ্দিকী মিলে করেছে সেটা নিয়ে ছবি হোক? ব্রিগেডিয়ার আজমি বা ব্যারিস্টার আরমানের হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে ছবি হোক? আপনি কি চান আমাদের ইতিহাস নিয়ে আওয়ামী গ্র্যান্ড ন্যারেটিভের বাইরে গিয়ে কেউ ফিল্ম করুক?
সেন্সর নীতিমালা সংশোধন ও ওটিটি সেন্সর বাতিল করার দাবি জানিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ‘আমার মনে আছে যে, আওয়ামী লীগ সরকার শেষ যে আমি-ডামি নির্বাচন করল তার আগে আমরা একটা আন্দোলন করেছিলাম সব ফিল্মমেকার মিলে। সেন্সর প্রথার বিরুদ্ধে। তখন আরাফাত সাহেবের সঙ্গে আমাদের একবার মিটিং হয়েছিল এবং উনি আমাদের সঙ্গে সব বিষয়ে একমত ছিলেন। কিন্তু আমরা কি দেখলাম? ক্ষমতার চেয়ারে বসেই উনি আগের ফিল্ম সেন্সর নীতিমালা তো বাতিল করলেনই না বরং ওটিটির জন্যও একটি সেন্সর নীতিমালা নিয়ে আসলেন! এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য ছিল ফিল্মমেকারদের গলা চেপে ধরা যাতে ওনাদের কোনো সমালোচনা না হয়। ফলে চলচ্চিত্র সেন্সর নীতিমালা সংশোধনের পাশাপাশি ওটিটি সেন্সর বাতিল করতে হবে। আপনি আমাদেরকে খেলতে বলবেন নেটফ্লিক্স-প্রাইমের সঙ্গে আর হাত-পা রাখবেন বেঁধে, এটা তো হয় না।’
সেন্সর বোর্ডে নতুন দিনের পরিচালকদের জায়গা দেওয়ার দাবি জানিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ‘আমি বুঝতে পারছি চলচ্চিত্র সেন্সর নীতি সংশোধনের আগ পর্যন্ত আপাতত কাজ চালানোর জন্য সেন্সর বোর্ডটাতো পূনর্গঠন করতে হবে। করেন সেটা। কিন্তু দয়া করে প্রাগৈতিহাসিক এফডিসির ততোধিক প্রাগৈতিহাসিক পরিচালক বা প্রযোজকদের এই কমিটিতে ঢোকানোর যে আজব অভ্যাস আছে, সেটা থেকে বের হয়ে আসেন। বাংলাদেশের নতুন দিনের ফিল্মমেকাররা প্রত্যেকেই এদের ঈর্ষার শিকার। কমিটিতে সেনসিবল লোকজন নেন প্লিজ। অনুদান কমিটিও একইরকমভাবে দলীয় প্রোপাগান্ডা মেশিনের হাত থেকে উদ্ধার করেন। সেটা করার অনেক উপায় আছে। বিস্তারিত সাক্ষাতে। ধন্যবাদ।’
এসআই/