মোবাইল বার্তায় লেখার সময় ঘটতে পারে বার্তা-বিভ্রাট!
অনেকেই আছেন যারা কথা বলার চেয়ে বার্তা পাঠিয়ে কথোপকথনেই বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেন। তাদেরকে বলা হয় ‘টেক্সট্রোভার্ট’।
অনেকেই লিখে মনের ভাব প্রকাশে বেশি সাবলীল। তবে কর্মক্ষেত্রে কাজের জন্য বার্তা পাঠানো হোক বা বিশেষ কারও সঙ্গে বার্তালাপ, টাইপ করতে সামান্য ভুলেই কিন্তু ঘটে যেতে পারে বড়সড় বিভ্রাট। বার্তা পাঠানোর সময় মেনে চলা দরকার কিছু নিয়মকানুন। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলি কী?
সংক্ষিপ্ত কথা বার্তা চালাচালির সময় লিখতে কম সময় লাগবে বলে অনেকেই শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করেন। যেমন কোনও কাজ দ্রুত করাকে বলা হয় ‘অ্যাসাপ’। এমন অনেক শব্দ রয়েছে। কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত রূপে বার্তা যাকে পাঠানো হচ্ছে তিনি তা না বুঝলে যেমন বিভ্রান্তি হতে পারে, তেমনই সংযোগের প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থাকতে পারে।
ভাষা
অনেকেই বার্তাতেও এমন ভাষা ব্যবহার করেন যা পেশাগত ক্ষেত্রে বা কোনও মহিলার সঙ্গে বার্তালাপে তা একেবারেই উচিত। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে কখনও কখনও তা ব্যবহার করলেও, এমন শব্দপ্রয়োগ এড়িয়ে চলাই ভাল। পাশাপাশি লেখার সময় বানান ভুল হচ্ছে কি না দেখা প্রয়োজন। লিখতে গিয়ে ভুল হলে, অন্যের কাছে বার্তার অর্থই বদলে যাবে।
প্রত্যুত্তরের সময়
অনেক সময় কেউ বার্তা পাঠানোর পর উত্তর দিতে এতটাই দেরি করে ফেলেন, বিষয়টির প্রাসঙ্গিকতাই থাকে না। ব্যক্তিগত স্তরে কারও সঙ্গে কথা হোক বা কর্মক্ষেত্রে, কোনও বার্তার উত্তর যদি তখনই দেয়া সম্ভব না-ও হয়, যত দ্রুত সম্ভব উত্তর দেয়া উচিত।
অন্য জন বুঝল কি?
অনেক সময় বার্তা যিনি পাঠাচ্ছেন তিনি ধরেই নেন, যা লিখবেন অন্য জন সেটা বুঝতে পারবে। এমনটা না-ও হতে পারে। তাই কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতে হলে, সেটা সম্পর্কে সরাসরি লেখা উচিত। ঘুরিয়ে, পেঁচিয়ে নয়। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় অনেকে হয়তো সরাসরি কোনও কথা না বলে ইঙ্গিতপূর্ণ কথোপকথন চালান। সে ক্ষেত্রে অন্য জন সঠিক ভাবে বার্তার অর্থ বুঝতে না পারলে, জ্ঞাপন প্রক্রিয়াটি অসম্পূর্ণ থাকতে পারে।
না বুঝে ‘ইমোজি’
অনেকেই কথাবার্তার মধ্যে মনের ভাব প্রকাশে, মজার ছলে নানা ধরনের ‘ইমোজি’ ব্যবহার করেন। রসিকতা করতে গিয়ে তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি না, দেখা দরকার। না হলে, যে জন্য তা ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উদ্দেশ্যই সফল হবে না।
কেএস//