আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের শুনানি আজ, নিরাপত্তা জোরদার
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিটের শুনানি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে।
গত মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের বেঞ্চ শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন।
এদিকে, রিট শুনানিকে ঘিরে দেশে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, তার জন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুনানি পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলো পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সহিংস কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশের সব বিভাগকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।’
এছাড়া, যেকোনো ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনপূর্বক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন ও নজরদারির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
গত সোমবার মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন। রিট আবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রিটের বিষয়গুলোতে রুল ও আদেশ চাওয়া হয়েছে। এই রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তন চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়েছে।
এমআর//