রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট
শেষ বেলায় শরিফুলের আঘাত, পাকিস্তান পিছিয়ে ৯৪ রানে
বাংলাদেশের দেওয়া ১১৭ রানের লিডের বিপরীতে ১০ ওভার খেলে ১ উইকেট হারিয়ে ২৩ রানে দিন শেষ করলো পাকিস্তান। চতুর্থ দিন শেষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাকি রইলো আর একদিন। শেষদিনে গড়ানো টেস্টের এই ভবিষ্যত জানার জন্য কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চতুর্থ দিনের শেষ বেলায় পাকিস্তান দল ব্যাট করতে নেমে হারিয়েছে ১ উইকেট। তৃতীয় ওভার চলাকালে শরিফুল ইসলামের ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে বন্দি হন সাইম আইয়ুব। তিনি ৩ বলে কেবল ১ রান করতে পারেন।
দিনশেষে অপরাজিত আছেন আব্দুল্লাহ শফিক ১২ (৩১) রান, শান মাসুদ ৯ (২৬) রানে।
এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসের দিকে তাকালে বেশ সাজানো-গোছানো মনে হবে। কেবলমাত্র কয়েকজন ব্যাটারের থেকে আশানুরূপ কিছু পাওয়া যায়নি। বাকিরা নিজেদের বেশ দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন রাওয়ালপিন্ডির পিচে।
যেখানে তৃতীয় দিনে সাদমান ইসলামের খেলা নিয়ে আলাদা করে বলতে হয়। চমৎকারভাবে খেলে সেঞ্চুরি পূরণের দিকেই ছিলেন সাদমান। তবে দুঃখজনকভাবে মোহাম্মদ আলীর ডেলিভারিতে বোল্ড হলেন ৯৩ রান করে।
মুমিনুল হক ও লিটন দাসের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি খুঁজেছে বাংলাদেশ। দুজনেই ফিরেছেন পঞ্চাশের ঘরে। মুমিনুল ৫০ রানে, লিটন ফিরলেন ৫৬ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে তখন জুটি খুঁজে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের সঙ্গে আলাদাভাবে চেনা যাচ্ছিল মিরাজকে। ছন্দ নিয়ে ব্যাট করছিলেন উভয় ব্যাটার।
মুশফিক তুলে নিলেন সেঞ্চুরি, সেই সেঞ্চুরি দেড়’শো ছাড়িয়ে ছুটছিল। আর ওদিকে মিরাজের রান পঞ্চাশ ছাড়িয়ে ছুটছে। মুশফিক নিজের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফিফথ স্টাম্পের বলে ব্যাট চালিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। বোলার ছিলেন মোহাম্মদ আলী।
মিরাজ ফিরেছেন ৭৭ রানে। শরিফুল ইসলাম দ্রুত কিছু রান তুলে দিলেন দলের পক্ষে, ১৪ বলে করলেন ২২ রান। শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ দল অলআউট হলো ৫৬৫ রানে।
এম এইচ//