ভয়াবহ বন্যায় ভারতের গুজরাটে ২৯ জন নিহত
টানা তিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণ সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে ২৯ জন প্রাণ হায়েছেন। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে। ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) বলছে, সহসাই এই বিপদ কাটছে না গুজরাটবাসীর। রাজ্যটিতে আরও কিছুদিন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসছে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত গুজরাটে ভারী বৃষ্টির জন্য সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আজওয়া এবং প্রতাপপুরা জলাধার থেকে বিশ্বামিত্রী নদীতে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে নিম্নধারার (ডাউনস্ট্রিম) এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। ভাদোদরার কিছু অংশ এবং নদীর তীরবর্তী অন্যান্য শহর ও গ্রামগুলো ১০ থেকে ১২ ফুট পানির নিচে চলে গেছে।
সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের ১৪০টি জলাধার ও বাঁধ এবং ২৪টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জাতীয় ও রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী ছাড়াও সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং কোস্টগার্ড উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, গুজরাটে প্রতি বছর গড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, গত কয়েকদিনেই তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।গুজরাট সরকারের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গুজরাটের মোর্বি, ভদোদরা, বারুচ, জামনগর, আরাবল্লি, পঞ্চমহল এবং দ্বারকায় ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে। ৬ জন মারা গিয়েছে আনন্দে। আমেদাবাদে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে গান্ধীনগর, খেদা, মহিসাগড়, দাহোড় এবং সুরিন্দরনগর জেলায়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আর রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুশিকেশ প্যাটেল বলেছেন, বন্যার পানি বিশ্বামিত্রী নদীতে ছাড়ার পরিবর্তে নর্মদা খালে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।
এমআর//