যে কারণে ব্রাজিলে নিষিদ্ধ হলো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্স
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সকে (সাবেক টুইটার) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ব্রাজিল সরকার। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে এক্স কর্তৃপক্ষ আইনবিষয়ক একজন বৈধ প্রতিনিধি নিয়োগ না করায় লাতিন আমেরিকার এ দেশটিতে এক্স নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার(৩১ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এক্সকে অবিলম্বে ও সম্পূর্ণভাবে স্থগিতের আদেশ দেন ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দ্য মোরেস এর বেঞ্চ। আদেশে বলা হয়, এক্স কর্তৃপক্ষ যতদিন না আদালতের সমস্ত আদেশ মেনে চলে এবং নির্ধারিত জরিমানা প্রদান করে, ততদিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এর আগে, বুধবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি মোরেস আদেশ দিয়েছিলেন, বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত এক্স অ্যাকাউন্টগুলো- সাবেক ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর সমর্থকদের- তদন্তের অধীনে থাকাকালীন অবশ্যই ব্লক করতে হবে।
আদেশে বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দ্য মোরেস অ্যাপল এবং গুগলের মতো সংস্থাগুলোকে তাদের অ্যাপ্লিকেশন স্টোর থেকে এক্সকে সরাতে এবং আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে এর ব্যবহার বন্ধ করতে পাঁচ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। এছাড়া ভিপিএনের মাধ্যমে কেউ এক্সে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাকে ৬ দশমিত সাত কে ইউরো জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক।
আদেশে বিচারপতি মোরেস আরও বলেন, ‘কোনো অ্যাকাউন্ট পুনরায় সক্রিয় করা হলে কোম্পানির আইনি প্রতিনিধিদের দায়ী করা হবে। এজন্য আইনবিষয়ক প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয় ইলন মাস্ককে। ব্রাজিলের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৭ মিনিটে ওই সময় শেষ হয়। কিন্তু ইলন মাস্ক তার আগেই জানিয়ে দেন, তিনি প্রতিনিধি পাঠাবেন না। এ কারণে ব্রাজিল সরকার বন্ধ করে দেয় জনপ্রিয় এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম।
চলতি বছরের এপ্রিলে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে একাধিক এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন এই বিচারপতি। তখন থেকেই ব্রাজিলে এক্স নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ওইসময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এক্সের মালিক ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, ‘বাকস্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তি। ব্রাজিলের একজন অনির্বাচিত ছদ্মবেশী বিচারক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটিকে ধ্বংস করছে।’
এর আগে, এক্সের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ইলন মাস্ক। শুধু তাই নয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের সঙ্গেও গত মাসে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এক্সের মালিক।
এমআর//