স্বাস্থ্য

ওএসডি হলেন ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ছবি: সংগৃহীত

বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বদলি করা হয়েছে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে।

রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পারসোনেল-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হলো। অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরার পদে নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের (সিএমই) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউল ইসলামকে।

একই প্রজ্ঞাপনে আরও তিন কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি করা হয়েছে। তারা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিনকে সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন পদে, অধিদপ্তরের আরেক বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদকে কুষ্টিয়া ম্যাটসের অধ্যক্ষ পদে, ঢাকার আইপিএইচএনের বিভাগীয় প্রধান ডা. মাহবুব আরেফীন রেজানুরকে ওএসডি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গেলো ২২ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের পদ থেকে সড়িয়ে নিপসম পরিচালক পদে পদায়ন করা হয় অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে। তবে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন নিপসমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার (২৫ আগস্ট) মহাখালীতে নিপসমের সামনে ব্যানার হাতে স্লোগান দেন ও বিক্ষোভ করেন তারা। ‘বৈষম্যবিরোধী নিপসম জনতা’র ব্যানারে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নিপসমের কর্মীরা বলেন, ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর। আগেও তিনি এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে ছিলেন। তখন তিনি প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করে দিয়েছেন।

তারা বলেন, সাবেক সরকারের এক সহযোগী ডা. সামিউল ইসলামকে সরিয়ে আরেক জুলুমকারীকে আমরা কোনোভাবেই মানবো না। এ সময় তারা ডা. রুবেনা হকেরও পদত্যাগ দাবি করেন।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারি শুরুর সময় তিনি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ছিলেন। পরে তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মহামারির সময় নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসে সর্বশেষ তথ্য ও নানা পরামর্শ দিয়ে তিনি সারাদেশেই পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন