বিদেশে থেকেও ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন জায়েদ খান!
ছাত্র-জনতার অসহযোগ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতা-কর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছেন। ঠিক তেমনি খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না আওয়ামী সমর্থিত তারকাদেরও। গা ঢাকা দিয়েছেন ফেরদৌস, রিয়াজদের মতো তারকা।
সম্প্রতি ‘আলো আসবেই’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়, যা ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আওয়ামীপন্থী তারকাদের মেসেজ প্রকাশ্যে আসে যা দেখে রীতিমতো হতবাক সবাই!
সেখানে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবার অবস্থান ছিল ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে! তারা মত দেন যেভাবেই হোক আন্দোলন থামাতে হবে। অরুণা বিশ্বাস পরামর্শ দেন ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেয়ার। এ রকম অনেকেই অনেক কথা বলেছেন।
ঐ গ্রুপে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসসহ ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, নায়ক রিয়াজ, সাজু খাদেমসহ অনেকেই। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশট শটে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে। এই গ্রুপে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও সাদিয়া আয়মানকে নিয়েও কথা হয়।
এদিকে, আন্দোলনের বেশ কয়েকদিন আগে থেকে দেশের বাইরে ছিলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তবে দেশের বাইরে থেকেও সক্রিয় ছিলেন এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। তিনি গ্রুপে এক সাংবাদিকের দেয়া মেসেজ ফরোয়ার্ড করে লেখেন। ‘সহমত’। লেখাটি ছিল, ‘কেবল একটু আওয়াজ হলো জয় বাংলা। আজ ফেসবুক পুরাই শান্ত দিঘীর জলের মতো স্বচ্ছ। এক পেশে চিৎকার আর স্বস্তা আবেগে ওরা জাস্ট একটা ট্রমার মধ্যে রেখেছিল দেশটাকে।’
এছাড়াও বেশ কয়েকটি বিষয়ে দিক নির্দেশনা নিয়ে কথা বলেছেন এই তারকা।
এসআই/