ঝরে পড়া শিক্ষার্থী রোধে শ্রেষ্ঠ পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর সর. প্রা. বিদ্যালয়
এক সময় বিদ্যালয়ের খাতায় না উঠলেও পরবর্তী সময়ে নানা কারণে কিছুসংখ্যক শিশু আর বিদ্যালয়ে ফিরে আসে না। অর্থ্যাৎ এ শিশুরা বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে। পড়ালেখায় তার আর ফিরে আসছে না। এ সব শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখি করতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। আর এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে বিদ্যালয়কেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হয়।
এ রকম ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে এবং ঝরে পড়ার হার কমাতে কিশোরগঞ্জ জেলায় সব চেয়ে বেশি সফল হয়েছে অষ্টগ্রাম উপজেলার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে বিশেষ অবদান রাখায় সম্প্রতিপশ্চিম আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জেলার শ্রেষ্ঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এ বিদ্যালয়টি ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হয়েছে।
জীবিকার সংগ্রামের কারণে অনেক দরিদ্র পরিবার তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চায় না। অনেক শিশুও পড়ালেখা করতে আগ্রহ দেখায় না। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়ে অনেক শিশু। করোনা মহামারির কারণে এটি আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ঝরে পড়া শিশুদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের উৎসাহ দিতে শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব দেয়ার প্রচলন শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।