দি মারিয়ার আনুষ্ঠানিক বিদায়ে আর্জেন্টিনার জয়
লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়া একাদশে নেই। তাতে চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে কোনো অসুবিধা হয়নি আর্জেন্টিনার। খুব সহজভাবেই ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আলবিসেলেস্তেরা।
২০১৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বুয়েনস এইরেসে নেমেছিল দুই দল। আর্জেন্টিনার হোম ভেন্যু হওয়ায় কিছুটা সুবিধাপ্রাপ্ত ছিল তারা। আরও এক কারণে চিলির বিপক্ষে এই ম্যাচটি গুরুত্ব পেয়েছে। কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলে বিদায় নিয়েছিলেন দি মারিয়া। সেই বিদায়ের মুহূর্ত আর্জেন্টিনার মাটিতে ভাগ করার সুযোগ হয়নি। এবার এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে দি মারিয়াকে আনুষ্ঠানিক বিদায় দিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।
ম্যাচ শুরুর আগেই পরিবার নিয়ে স্টেডিয়ামে হাজির হন দি মারিয়া। বড় স্ক্রিনে দেখানো হয় তার ফুটবলের মুহূর্তগুলো। এই ফুটবলারের মেয়ে মিয়ার চিঠি পাঠ করা হয় এই সময়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বন্ধু লিওনেল মেসির ভিডিও বার্তা ভেসে ওঠে। সবমিলিয়ে নিজের আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি দি মারিয়া, চোখ ভিজে ওঠে তার।
চিলির বিপক্ষে প্রথমার্ধে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের চিরচেনা রূপে ফিরে যায় তারা। এই অর্ধ শুরুর পরই ম্যাক অ্যালিস্টারের দারুণ এক গোলে লিড নেয় আকাশী-নীলরা।
যেখানে চিলি গোলরক্ষককে বোকা বানানোর কাজটা করেছিল রদ্রিগো দি পল ও হুলিয়ান আলভারেজ মিলে। দি পলের বাড়ানো পাসে আলভারেজের শট নেয়ার কথা থাকলেও, বলটি ছেড়ে দেন তিনি। আর সেই ছেড়ে দেয়া বলেই গোল খুঁজে নিয়েছেন ম্যাক অ্যালিস্টার।
ম্যাচ শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে দ্বিতীয় গোল পায় আর্জেন্টিনা। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে এবার আলভারেজের পা থেকে আসে কাঙ্ক্ষিত গোল। যোগ করা সময়ে তৃতীয় গোলটি করেন পাওলো দিবালা। বদলি হয়ে নেমেছিলেন তিনি, জার্সি নম্বর ছিল মেসির সেই দশ। কোনাকুনি এক শটে গোল করে আর্জেন্টিনার আনন্দ আরও বাড়িয়েছেন দিবালা।
৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে লিওনেল স্কালোনির দল। অন্যদিকে চিলির অবস্থা বেশ খারাপই বলতে হয়। ৭ ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট মাত্র ৫।
এম এইচ//