লুট হওয়া অনুদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের সংখ্যা জানালো পুলিশ
আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থানা ও ফাঁড়িতে হামলার করে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে করে দুর্বৃত্তরা। এসব অস্ত্র জমা দেয়ার শেষ সময় পার হওয়ার পর লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। এখন পর্যন্ত লুট হওয়া ১৮৮৫ টি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ঢাকাসহ সারাদেশে লুট হওয়া বিভিন্ন অস্ত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৮টি। এর মধ্যে গেলো ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ৯৩৩টি অস্ত্র। তবে রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি ও পিস্তলসহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি ১ হাজার ৮৮৫টি অস্ত্র। এছাড়া প্রায় ৩ লাখ লুট হওয়া গোলাবারুদ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে চায়না রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে ৮৩৯টি, উদ্ধার হয়নি ২৯৬টি। বাংলাদেশি রাইফেল উদ্ধার হয়েছে ৯টি, উদ্ধার হয়নি ১টি। এসএমজি উদ্ধার হয়েছে ১৯১টি, উদ্ধার হয়নি ৬০টি। এলএমজি উদ্ধার ২১টি, উদ্ধার হয়নি ১১টি। পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে ৭৩১টি, উদ্ধার হয়নি ৮২৫ টি।
৯x১৯ মি.মি. এসএমজি/এসএমটি উদ্ধার হয়েছে ৩২টি, উদ্ধার হয়নি ১টি। শটগান উদ্ধার হয়েছে ১৬২৪টি, উদ্ধার হয়নি ৬৭টি। গ্যাস গান ৪৭৬টি উদ্ধার, উদ্ধার হয়নি ১১৭টি। টিয়ার গ্যাস লঞ্চার (সিক্স শট) উদ্ধার ৯টি, উদ্ধার হয়নি ৫টি এবং সিগন্যাল পিস্তল উদ্ধার ১টি, উদ্ধার হয়নি ২টি।
এছাড়া লুট হওয়া বিভিন্ন বোরের গুলি উদ্ধার হয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ৮৫৭টি, উদ্ধার করা যায়নি ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪০৫টি। টিয়ারগ্যাসের শেল উদ্ধার ২৩ হাজার ১৯৪টি, উদ্ধার করা যায়নি ৮ হাজার ৮১১টি। টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড উদ্ধার ৭০৪টি, উদ্ধার করা যায়নি ৭৫১টি। সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার ২ হাজার ১২৮টি, উদ্ধার সম্ভব হয়নি ২ হাজার ৫৬৪টি।
প্রসঙ্গত, চলমান এ যৌথ অভিযানে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্টগার্ড এবং র্যাব।
আই/এ