দেশজুড়ে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। একদিকে অসহনীয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহে জনসাধারণ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন। এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্য।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথপুর উপজেলার আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম আজাদ বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

উপজেলা বিদুৎ অফিস জানায়, নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ দিতে প্রতিদিন গড়ে ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে এর মধ্যে জগন্নাথপুর ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে আনায় ঘাটতি পূরণের জন্য এক ঘন্টা পরপর লোডশেডিং করা হচ্ছে। আমদানি করা বিদ্যুৎ ও গ্যাসভিত্তিক কিছু প্ল্যান্ট গুলোতে গ্যাস সংকটে উৎপাদন বন্ধ আছে এই জন্য বেশি সমস্যা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, লোডশেডিংয়ে মোবাইল নেটওয়ার্কও ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে রবি ও এয়ালটেল এর মত মোবাইল কোম্পানীর নেটওয়ার্ক থাকে না। বিদ্যুৎ না থাকলে অপারেটররা ২-৩ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজেদের ব্যবস্থায় নেটওয়ার্ক চালাতে পারে, কিন্তু এর বেশি হলে সাইট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে করে দেখা দেয় চরম ভোগান্তি।

জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী সুজন আহমদ শুভ বলেন, প্রচণ্ড গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ক্রেতারা বাজারে আসছেন না। এতে করে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা  দিয়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী মো. ওয়ালি উল্লাহ বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি তোলা যাচ্ছে না। অচল হয়ে পড়েছে ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রাংশ। প্রচণ্ড তাপদাহের সঙ্গে বিদ্যুৎ না থাকায় শিশু ও বয়স্ক মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

আবাসিক প্রকৌশলী জানান,  এই গরমে বিদুৎতের চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওায়ায় রোটেশন করে বিদ্যুৎ দিচ্ছেন তারা। মুলত ঢাকা থেকে লোড (বিদ্যুৎ) আসে। শহরের তুলনায় গ্রামে বিদুৎ কম আসছে এখন। আগামী ১১ তারিখ একটি মিটিং আছে, সেখানে লোড বা আবার আগের জায়গায় নিয়ে যেতে আলোচনা করা হবে।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন