আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

টার্গেটই প্রবাসীরা, খাতির জমিয়ে লুটতো সর্বস্ব: র‌্যাব

তিন বছর পর কুয়েত থেকে দেশে ফিরেই অজ্ঞান পার্টির কবলে পরেন বগুড়ার প্রবাসী তৌহিদুল ইসলাম। এই ঘটনার প্রায় এক মাস পর ওই পার্টির মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

রোববার (২ অক্টোবর) গ্রেপ্তারদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব। সেখানে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে জানান র‌্যাব মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মূল হোতা আমির হোসেন (৫২), লিটন মিয়া (৪৮), আবু বকর সিদ্দিক (৩৫) ও জাকির হোসেন (৪০)।

তিনি বলেন, প্রবাস থেকে কোনো যাত্রী এলেই তাদের টার্গেট করতো। সেজন্য বিমানবন্দর এলাকার বিভিন্ন বাস কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো চক্রটির সদস্যরা। বিদেশ থেকে আসা কাউকে দেখলেই তার কাছে গিয়ে বলতেন কোনো জেলায় যাবেন। বিষয়টি জানার পরই সেই ব্যক্তিকে বলা হতো আমরাও সেই জেলায় যাব কিন্তু আমাদের একজন আসার কথা থাকলেও না আসায় একটি টিকিট বেশি রয়েছে। ভুক্তভোগী তাদের কথাগুলো সরলভাবে বিশ্বাস করতেন।

আগে থেকেই করে রাখা পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রবাসিদের নিয়ে বাস বা ট্রেনে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে ভিক্টিমের লাগেজ নিয়ে পালিয়ে যেত।

গেলো ১৫ বছর ধরে এভাবে প্রবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল আমির ও তার চক্র সদস্যরা। কয়েক বছর ধরে ৩০০ এর অধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করে।

গেলো ২ সেপ্টেম্বর ভোরে কুয়েত থেকে আসেন প্রবাসী তৌহিদুল ইসলাম। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করেন। বিমানবন্দর থেকে আসেন উত্তরার আজমপুরের একতা পরিবহনের বাস কাউন্টারে। ওই বাসে করে বগুড়া যাবেন তিনি। যাওয়ার পথে ওই বাসে বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণালংকার, কুয়েতি দিনারসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয় ওই অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।  
 

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন