মুখের দাগ উধাও হবে যে খাবার খেলে, ত্বকে আসবে ঔজ্জ্বল্য
অনেকেই মুখের দাগ আর ব্রণ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। বিশেষ করে যখন বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেও দাগ দূর হয় না। কিন্তু কিছু সহজ ও পরিচিত খাবার নিয়মিত খেলে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হতে পারে।
চলুন জেনে নিই, কোন কোন খাবার খেলে ত্বকের দাগ কমবে এবং আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল।
১. বেরি জাতীয় ফল: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, চেরি বা আমলকির মতো বেরি জাতীয় ফলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। এই উপাদানগুলো ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করে এবং ত্বককে দাগমুক্ত রাখে।
২. পেঁপে: পেঁপেতে রয়েছে প্যাপেইন নামের একটি উৎসেচক, যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের রন্ধ্রপথ পরিষ্কার রাখে, ব্রণ ও ফুসকুড়ির দাগ হালকা করে এবং ত্বককে আর্দ্র রাখে, ফলে বয়সের বলিরেখা পড়ে না।
৩. বীট: বীটে আছে ভিটামিন এ, ই, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এই সব উপাদান ত্বককে দূষণমুক্ত করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৪. পাতিলেবু: পাতিলেবুর রসের মতো এর খোসার সবুজ অংশও ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় এবং দাগ কমাতে সাহায্য করে।
৫. হলুদ: প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রে ত্বকের জন্য হলুদের উপকারিতার কথা বলা হয়েছে। হলুদে কার্সুমিন নামক উপাদান থাকে, যা প্রদাহ কমাতে এবং ত্বককে পরিষ্কার ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত হলুদের ব্যবহারে ত্বকের রন্ধ্রপথ পরিষ্কার থাকে, যাতে ময়লা জমতে না পারে।
৬. কুমড়োর বীজ: কুমড়োর বীজে আছে জিংক, ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলো ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, দাগ কমায় এবং ব্রনের ঝুঁকি কমায়।
৭. তৈলাক্ত মাছ: ইলিশ, কাতলা, পমফ্রেট বা ভেটকির মতো তৈলাক্ত মাছে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
৮. ডালশস্য: সয়াবিন, রাজমা, কাবলি ছোলা বা অন্যান্য ডাল শস্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে ব্রণ ও ফুসকুড়ি কম হয়।
প্রসাধনী ব্যবহারের পাশাপাশি, খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখলে ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ করা সম্ভব। ত্বকের যত্ন নেওয়া মানে শুধু বাইরে থেকে যত্ন নেওয়া নয়, ভেতর থেকে প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে সুস্থ রাখাও জরুরি।
জেডএস/