লাইফস্টাইল

তিল খেলে আর কী কী উপকার হবে?

‘সিসেমি চিকেন’ হোক কিংবা ‘সুইট অ্যান্ড সাওয়ার প্রন’- পরিবেশন করার আগে পদের উপর ছড়িয়ে দেয়া হয় সাদা তিল। ঘরোয়া খাবার বলতে তিলের নাড়ু, খাজা কিংবা রেউড়ি। রান্নায় খুব একটা কালো তিল দেয়ার চল নেই। তবে রূপচর্চায় কালো, সাদা- দু’ধরনের তিলের তেলই ব্যবহার করা হয়।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, তিল যেমন উপকারী, তেমন তিলের তেলেরও যথেষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে। ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ এবং প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টেও রয়েছে তিলের মধ্যে। জেনে নিন কী কী উপকার রয়েছে।

তিল খেলে আর কী কী উপকার হবে?

১. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ:

কালো হোক বা সাদা- দুই ধরনের তিলেই ‘সিস্যামোলিন্‌স’ এবং ‘সেসামিন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। এই দু’টি উপাদান অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়।

২. হাড়ের জন্য ভালো :

যেহেতু তিলের মধ্যে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেশি, তাই এই খাবার হাড়ের জন্যও ভালো। এ ছাড়া তিলের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস। ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি এই দুটি খনিজও হাড়ের জোর বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বয়সকালে হাড়ের ঘনত্ব স্বাভাবিক থাকলে অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ভয় কমে।

৩. হার্ট ভালো থাকে:

সাদা তিলের মধ্যে এমন যৌগ থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শীতে এমনিতেই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই কোনও মতেই কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে দিলে চলবে না এই সময়। তাই শীতের মরসুমে ডায়েটে তিল রাখা উপকারী।

৪. ত্বকের জন্য ভালো:

ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতেও তিলের তেল মাখতে পারেন। তিলের তেল ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে। যাদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক, তাদের শীতকালে ভোগান্তি বাড়ে। তবে শীত আসার আগে থেকে যদি তিলের তেল মাখতে শুরু করেন তা হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

৫. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে:

তিলে ভালো মাত্রায় ফাইবার থাকে। তিলের তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে বিপাকহার বাড়ে। ডায়াবেটিকদের জন্যেও বেশ উপকারী তিল। যে কোনও মওসমি সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হয় ডায়াবেটিকদের। ফলে ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যেও উপকারী তিলের তেল।

 

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন