৬ কোটি টাকার বমি জব্দ, কেন এতো দামি তিমির বমি
বমি সবচয়ে ঘৃণিত বস্তুর একটি। একজনের বমি দেখলে অন্যজনের বমি চলে আসে। তবে সব সময় তা একই নিয়মে চলে না। কোনও বমি লুফিয়ে নিতে মানুষ অনেক সাধনা করে থাকে।
কারও বমি বাজারে বিক্রি হয় জানেন? পশু পাচারের কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন। পশুর হাড় থেকে চামড়া সবই বিক্রি হয় অবৈধভাবে। কালো বাজারে হাতির দাঁত, বিভিন্ন পশুর চামড়া ও গণ্ডারের শিংয়ের দাম বেশি। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন, কোনও প্রাণীর বমি বাজারে বিক্রি হয়? তা-ও আবার কোটি-কোটি টাকায়। হ্যাঁ, ঠিকই বলেছি।
আর সেটি হলে তিমি মাছের বমি। তিরি এক কেজি বমির বাজার মূল্য কোটি টাকারও বেশি।
সম্প্রতি তিমির সেই বমি পাচার কর গিয়ে ধরা খেলেন তিন ব্যক্তি। ঘটনাটি ভারতের মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে। তিমির বেশ মূল্যবান সেই বমির চোরাচালান হচ্ছিল। সেই সময়েই তিমির সাড়ে ৫ কেজি বমিসহ তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে ঠাণে পুলিশের অপরাধদমন শাখা।
পুলিশ জানায়, ধৃতেরা হলেন অনিল ভোঁসলে, অঙ্কুশ শঙ্কর ও লক্ষ্মণ শঙ্কর পাটিল। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, কয়েক কোটি টাকার তিমির বমি পাচার করা হচ্ছে। সেই খবর পেয়েই রাস্তায় নাকাতল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই অভিযান চালানোর সময় পাইপলাইন রোড ধরে বদলাপুরগামী একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। গাড়িটিকে আটক করে তারা।
তল্লাশি চালানোর সময় গাড়ির ভেতরে একটি ব্যাগ থেকে ৫ কেজি ৬০০ গ্রামের মতো তিমির বমি উদ্ধার হয়। যার বাজারদর ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। তিমির বমিকে অ্যাম্বারগ্রিস বলে। এটি তিমির শরীর থেকে বেরিয়ে আসা বর্জ্য পদার্থ। ধূসর বা কালো রঙের এই পদার্থটি পাথরের মতো শক্ত। সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় অ্যাম্বারগ্রিস। এছাড়াও ওষুধ তৈরি এবং যৌন সমস্যার চিতিৎসাতেও ব্যবহৃত হয় তিমির বমি। তাই এই বমির দাম অনেক বেশি। বিজ্ঞানীরা এটিকে ‘ভাসমান সোনা’ বলে থাকেন।
জেএইচ