অপরাধ

‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে গিয়ে যা দেখলো গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান কমিশন

আয়নাঘর খ্যাত সেলের ফাইল ছবি

গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের কার্যক্রম শুরুর পর এ পর্যন্ত ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। আলোচিত বন্দীশালা ডিজিএফআই এর আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের মিল পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি সংস্থাটি। তবে বিভিন্ন স্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণগুলো মুছে ফেলার অভিযোগ তুলেছে সংস্থাটি। জানালেন গুম সংক্রান্ত  অনুসন্ধান কমিশনের সভাপতি ও হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) গুম সংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়েছে সংস্থাটি।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম জানান, গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের কার্যক্রম শুরুর পর এ পর্যন্ত ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি গুমের অভিযোগ এসেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই), ডিবি ও সিটিটিসির বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক যারা গুম হয়েছেন তাদের অভিযোগগুলো নিয়েই আমরা কাজ করেছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদেরও আমরা ডাকব। বক্তব্যের জন্য সমন দেব। অভিযুক্তরা না আসলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর আমরা ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর পরিদর্শন করেছি। ১ অক্টোবর আমরা ডিবি ও সিটিটিসি পরিদর্শন করেছি। তবে সেখানে কোনো বন্দী আমরা পাইনি। সম্ভবত ৫ আগস্টের পর সেখানে থেকে সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২৭ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করে সরকার।

কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের হাতে জোর করে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

 

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন