আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়ি ছাড়ে তরুণরা: র‌্যাব

জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা বাড়ি ত্যাগ করে চার তরুণসহ সাতজন।দেশের সংবিধান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ক্রোধ ও ক্ষোভ জাগিয়ে তুলে সমাজ থেকে বাইরে নিয়ে এসে তাদের সশস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিতে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে আগ্রহী করে তোলে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িতরা। বললেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পটুয়াখালীর হোসাইন আহম্মদ (৩৩), মো. নেছার উদ্দিন ওরফে উমায়ের (৩৪) ও বণি আমিন (২৭)। কুমিল্লা থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া গ্রেপ্তার চার তরুণ হলেন- ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত (১৯), মো. হাসিবুল ইসলাম (২০), রোমান শিকদার (২৪) ও মো. সাবিত (১৯)।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গতকাল (বুধবার) রাতে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে কুমিল্লা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া চার তরুণসহ তিনজনকে মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এইসব তরুণদের মুসলমানদের ওপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান দেয়া হতো। ধাপে ধাপে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। নিরুদ্দেশ হওয়া তরুণদের সেইফ হাউজে পটুয়াখালী ও ভোলার বিভিন্ন চর এলাকায় সশস্ত্র হামলা, বোমা তৈরি, শারীরিক কসরত ও জঙ্গিবাদবিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে নব্য জঙ্গি সংগঠনের তিন ধরনের প্রচারপত্র, বিস্ফোরক তৈরির নির্দেশিকা সম্বলিত পুস্তিকা, নব্য জঙ্গি সংগঠনের কর্মপদ্ধতি (খসড়া মানহায), উগ্রবাদী বই ‘নেদায়ে তাওহীদের’ ৪ কপি ও জিহাদি উগ্রবাদ ভিডিও সম্বলিত একটি ট্যাব জব্দ করা হয়। 

খন্দকার আল মঈন বলেন, গেলো ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে ৮ তরুণ নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় নিখোঁজ সংক্রান্তে গেলো ২৫ আগস্ট কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। ঘটনাটি গণমাধ্যমে বহুলভাবে আলোচিত হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের তৈরি হয়।

তাসনিয়া রহমান

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন