আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

‘সেবার মানোন্নায়নে এ, বি ও সি ক্যাটাগরি করা হবে’

দরিদ্র জনগণ যাতে সঠিক চিকিৎসা পায়, তারা যেন কষ্ট না পায়, তাদের যাতে বাড়তি মূল্য না দিতে হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে যে চার্জ আছে সেটিকে নির্ধারণ করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় দেখা যায় একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য ১০ হাজার টাকা, অন্য জায়গায় আবার ৫০ হাজার টাকা, এই বিরাট বৈষম্য দূর করা হবে। 

জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আজ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাদের সেবার মান উন্নয়নের বিষয়ে জোরদার করতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা ক্যাটাগরি করে দেবো। সেবার মান উন্নত করে এ, বি ও সি ক্যাটাগরি করে দেয়া হবে। ক্যাটাগরি সার্বিক ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। যে ক্যাটাগরিতে যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার উপযোগী সেই প্রতিষ্ঠান তার বাইরে সেবা দিতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ক্যাটাগরি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। সব হাসাপাতালের সেবার মান যেহেতু এক নয়, আর সে অনুযায়ী চার্জ নির্ধারণ হবে। করোনার জন্য অনেক কিছু করতে পারিনি, গোটা বিশ্বই আগাতে পারেনি। আগামীতে যাতে দ্রুত করতে পারি সেদিকে নজর রাখছি। এ বছরই এটি হবে। আমরা প্রাথমিক লিস্ট করে রেখেছি। সবকিছুর ধারণা রেখেছি, আশা করি দ্রুতই এটি হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, অনেকে অপারেশন করেন, সিজার করেন। কিন্তু সিজার করার ব্যবস্থা হয়তো সেই ক্লিনিক বা হাসপাতালে নেই, তাদের অপারেশন বা সিজার করতে দেয়া যাবে না।

উম্মে রুম্মান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন