জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী ক্রিস্টিন বোইসন আর নেই!
পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী ক্রিস্টিন বোইসন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ‘ইমানুয়েল’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে তারকাখ্যাতি লাভ করেছিলেন তিনি। গেল ২১ অক্টোবর মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
তবে কেন কিংবা কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তার, এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এর আগে ২০১০ সালে একবার ব্যক্তিজীবন নিয়ে শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিলেন এ ফরাসি তারকা। তখন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছিল, পঞ্চম তলার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে উদ্ধারকর্মীরা তাকে বাধা দিয়ে রক্ষা করেছিলেন।
ক্যারিয়ারে অভিষেকের সিনেমাটিই সাফল্য এনে দিয়েছিল ক্রিস্টিন বোইসনকে। সবে স্কুল ছাড়া এক নাবালিকাকে রোমান্সকর যৌন দুঃসাহসিক চরিত্রে ‘ইমানুয়েল’ সিনেমার জন্য ঠিক করেছিলেন নির্মাতা জাস্ট জ্যাকিন। এতে একজন স্বাধীনতাকামী চরিত্রে দেখা গেছে ক্রিস্টিন বোইসনকে। শারীরিক গঠন অনুযায়ী ছোট ছোট কিছু চরিত্রে অভিনয়ের পর ফের পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে স্কুলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
পরবর্তীতে ফ্রান্সের খ্যাতিমান কনজারভেটোয়ারে অভিনয়ের ওপর পড়ালেখা করেন। তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করার পর ফের অভিনয়ে ফিরেন তিনি। তবে এবার যৌন কিংবা দুঃসাহসিক চরিত্রে অভিনয়ে ফিরেননি। যেসব চরিত্রে তার শরীরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সেসব প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন।
চার দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৫০টিরও বেশি সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ক্রিস্টিন বোইসন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাইকেল অ্যান্তোনিওনির ‘আইডেন্টিফিকেশন অব এ ওম্যান’ (১৯৮৪), ড্যানিয়েল স্মিডের ‘জেনাটস’ (১৯৮৭), জ্যাক ব্রালের ‘এক্সটেরিয়র’, ‘নাইট’, ইভেস বোইসেটের ‘রেডিও রেভ’ (১৯৮৯), অলিভিয়ার অ্যাসায়াসের ‘এ নিউ লাইফ’ (১৯৯৩), পিটার ক্যাসোভিটসের ‘বনজোর ট্রিস্টেস’ (১৯৯৫), মায়েনওয়েনের ‘অল অ্যাবাউটন অ্যাক্ট্রেসেস’ (২০০৯) এবং এরিক ভ্যালেটের ‘স্টেট অ্যাফেয়ার্স) (২০০৯)।
এসআই/