ডিজনির ভাগ্য বদলে দিয়েছে যে সিনেমাগুলো
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্র বাজারে আবারও শক্ত অবস্থান তৈরি করছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস। এই সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে কয়েকটি সুপারহিট সিনেমা।
২০২৫ সাল ডিজনির জন্য অত্যন্ত সফল একটি বছর হয়ে উঠেছে। এ বছরে মুক্তি পাওয়া ডিজনির প্রায় সব সিনেমাই বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছে। মাত্র কয়েকটি সিনেমার মাধ্যমেই স্টুডিওটি ৬ বিলিয়ন ডলার আয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) এই বিশাল অংকের আয় পূরন করে ডিজনি। আগের বছর, ২০২৪ সালে ডিজনির আয় ছিল ৫ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি; চলতি বছরে সেই সাফল্য আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
এই বিপুল আয়ের সবচেয়ে বড় অবদান এসেছে গত নভেম্বরে মুক্তি পাওয়া অ্যানিমেশন ছবি ‘জুটোপিয়া টু’ থেকে। সিনেমাটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১.৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং এখনও বিশ্বজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে চলছে। পাশাপাশি গত মে মাসে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ বক্স অফিসে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে ডিজনির সাফল্যে বড় ভূমিকা রেখেছে।

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সদ্য মুক্তি পাওয়া আলোচিত সিনেমা ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। জেমস ক্যামেরন পরিচালিত এই ছবি মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহেই প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করে ডিজনির আয়ের গতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০১৫ সালের পর ডিজনি ছাড়া আর কোনো স্টুডিও এক বছরে ৬ বিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড গড়তে পারেনি। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর বক্স অফিসে একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছিল ডিজনি। যদিও করোনা মহামারির সময় প্রতিষ্ঠানটির আয়ে বড় ধরনের ধস নামে। তবে বিদায়ী এই বছরেই ডিজনি আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত মার্কিন বাজারে প্রায় ২.৩ বিলিয়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ৩.৬৫ বিলিয়ন ডলার আয় করে বিশ্ব চলচ্চিত্র বাজারে নিজেদের আধিপত্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে ডিজনি।
এসএইচ//