ভিনির দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে রিয়ালের প্রত্যাবর্তন
প্রথমার্ধেই বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ পিছিয়ে পড়ে ২-০ গোলে। মাত্র ৩৪ মিনিটেই রিয়াল খেয়ে বসে ২ গোল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের এমন দশায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমতি ছিলো না ট্রলের।
কিন্তু তারা কীভাবে ভুলে যায় টুর্নামেন্টটি চ্যাম্পিয়নস লীগ, আর দলটা রিয়াল মাদ্রিদ। কারণ এমনটা তো একবার দুইবার নয় আপনি দেখেছেন বহুবার। ম্যাচের এক ঘণ্টা পর্যন্ত ২ গোলে পিছিয়ে থাকার পর ম্যাচের বাকি সময়ে রিয়াল করেছে ৫ গোল।
এটি দুর্দান্ত ও অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন মনে হতেই পারে। কিন্তু যারা সাচ্চা রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থক তাদের কাছে মনে হবে স্বাভাবিক ব্যাপার। রিয়াল মাদ্রিদের অভ্যাসটাই এরকম।
যত গোলেই পিছিয়ে থাকুক, রেফারি শেষ বাঁশির বাজানোর আগে রিয়াল ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। ইউরোপের একটি দুটি নয়, অনেক বড় দলকেই এমন স্বাদ দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াল এই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেছেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, এবারের ব্যালন ডি’অরের ‘হট ফেবারিট’ ভিনিসিয়াস জুনিয়র। বাকি দুই গোল এসেছে আন্টোনিও রুডিগার ও লুকাস ভাসকেজের কাছ থেকে।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে ডনিয়েল ম্যালেন এবং ৩৪ মিনিটে জেমি গিটেন্সের গোলে ডর্টমুন্ড এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।
পিছিয়ে পড়ে রিয়াল ব্যবধান কমায় ৬০ মিনিটে, কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রসে রুডিগারের হেডে। এর মিনিট দুয়েক পরেই সমতায় ফেরানো গোলটি করেন ভিনি। যদিও শুরুতে রেফারি অফসাইড দেখিয়ে সেটা বাতিল করে দেয়। কিন্তু ভিএআরে আসে গোলের সিদ্ধান্ত।
সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি যখন মাত্র ৭ মিনিট, তখন রিয়ালকে এগিয়ে দেন লুকাস ভাসকেজ। বাকি সময়টুকু মাঠে কেটেছে ভিনিসিয়াসময়। ৮৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটা করেন ভিনি। একেবারে নিজেদের নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে এসে বক্সের বাইরে থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের অসাধারণ শট আটকাতে পারেননি ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক। দ্বিতীয় গোল করেই নিজের জার্সি খুলে ফেলেন ভিনি। তবে রিয়াল মাদ্রিদের নাম্বার সেভেন থামেননি এখানেই। করা সময়ে তৃতীয় মিনিটে করেন হ্যাটট্রিকও।
চ্যাম্পিয়নস লীগে এটি ভিনির প্রথম হ্যাট্রিক। আর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তৃতীয়বার।