জাতীয়

অর্থ উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে মার্কিন আদালতে তলব

অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ‘গ্রেফতারের জন্য বেঞ্চ ওয়ারেন্ট’ জারি করেছে একটি মার্কিন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ২০০৬ সালের একটি মামলায় এ আদেশ জারি করা হয়।

বাংলাদেশের কাছ থেকে ৩১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার জরিমানার আদায় করার বিষয়ে তাদের জবানবন্দি নিতে এ আপিল করেছিল স্মিথ কোজেনারেশন (বাংলাদেশ)।

মার্কিন এ কোম্পানির এমন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার অবিলম্বে একটি আপিল করে। নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি আইনি সংবাদমাধ্যম ল৩৬০ এর বরাতে ডেইলি স্টার এই খবর জানিয়েছে। স্মিথ কোজেনারেশন (বাংলাদেশ)-এর আপিলটি মঞ্জুর করে আহমেদ ও মনসুরকে ‘আটক করে আদালতে আনার জন্য’ মার্কিন মার্শাল সার্ভিসকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন জেলা জজ কার্ল জে নিকোলাস। কোম্পানিটি আহমেদ ও মনসুরকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘দুইজন সিনিয়র নেতা’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছে, সালিশি জরিমানা আদায়ের জন্য কয়েক দশকের ধরে চলমান দীর্ঘ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তাদের জবানবন্দি প্রয়োজন।

২০০৬ সালে মামলাটি দায়ের করা হয়। এর মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো ডিসি আদালতে দ্রুত একটি আপিল দাখিল করে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে দাখিল করা ওই আপিলে বাংলাদেশ দাবি করে, আহমেদ ও মনসুরকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়ার কোনও এখতিয়ার বিচারক নিকোলাসের নেই৷

বাংলাদেশ তার আপীলে লিখেছে, ‘এছাড়া, যে দুজন ব্যক্তিকে বেঞ্চের ওয়ারেন্টের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা উভয়েই উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি ও দেওয়ানী প্রক্রিয়া থেকে মুক্ত।’

বাংলাদেশ বলেছে, এই আপিলের আওতায় অবিলম্বে বিচারক নিকোলসের আদালতের এখতিয়ার বাতিল ও বেঞ্চের ওয়ারেন্ট প্রয়োগযোগ্য নয়।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন