শোচনীয় ইনিংস হারের তেতো স্বাদ পেলো বাংলাদেশ
ঘরের মাটিতে ইনিংস ও ২৭৩ রানে হারলো বাংলাদেশ দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দুই ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশ স্বাগতিকরা। সফরকারী দলের জন্য এটি সবচেয়ে বড় ব্যবধানে টেস্ট জয়।
বাংলাদেশ যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। ঘরের মাটিতে হওয়া টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট হারের পর চট্টগ্রাম টেস্টেও একইরকম ফলাফল। ফলো-অন এড়ানো যায়নি, এরপর ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে কেবল ১৪৩ রান করতে পারে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে আফ্রিকার ৫৭৫ রানের পাহাড়সম চাপ সামলানো যায়নি। সেই রানের বিপরীতে ১৫৯ রানে অলআউট হওয়ার পর, ৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। পিছিয়ে থাকা দলটি প্রথম উইকেট হারায় ষষ্ঠ ওভারে। ডেন পেটারসেন সাদমান ইসলামকে ফেরানোর পর, একে একে উইকেট পতন হতে থাকে।
এই ইনিংসে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৬ রান করেন, মাহিদুল হাসান অঙ্কন করেন ২৯ রান। এই দুই ইনিংস বাংলাদেশের জন্য ছিল সর্বোচ্চ।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কেশভ মহারাজ ৫ টি, সেনুরান মুথুসামি ৪ টি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে, বাংলাদেশ আজ তৃতীয় দিন শুরু করেছিল ৩৮ রানে ৪ উইকেট হাতে রেখে। দলের খাতায় মাত্র ১০ রান যোগ হতেই আজ আরও ৪ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। মাত্র ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানো দলকে মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম এগিয়ে নিয়েছেন। বিরতির পর ৫ ওভার ভালোভাবেই পাড়ি দেয় তাইজুল ও মুমিনুল। তবে এরপরের ওভারে সেনুরান মুথুসামির প্রথম বলেই লেগ বিফোরের শিকার হয়ে ৮২ রানে বিদায় নেন মুমিনুল।
দুজনের ১০৩ রানের জুটি ভেঙে যায়।
স্বাগতিকদের পক্ষে শেষ ব্যাটার হিসেবে নামেন নাহিদ রানা। নাহিদ অপরাজিত ছিলেন, তাইজুল ৩০ (৯৫) রান করে ফিরলে পুরোপুরি গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর প্রোটিয়াদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসে এবং বাংলাদেশকে ফলো-অনে পাঠানো হয়।
এই ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে কাগিসো রাবাদা একাই ৫ উইকেট নেন। ডেন পিটারসেন ও কেশভ মহারাজ নেন ২ টি করে উইকেট।
এম এইচ//