ঘুরে দাঁড়ানো আফগানদের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ
বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরুতে ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তান লড়াই করার রসদ পেয়েছে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান সংগ্রহ করেছে আফগানরা। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ ৪ টি করে উইকেট নিয়েছেন। শরিফুল ইসলাম নিয়েছেন ১ উইকেট।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ’তে ৩০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পক্ষে ছিল আফগানিস্তান। রমিজ রাজা টসের আগেও তেমনটি বলছিলেন পিচ দেখে। টস জেতা হলেও, ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করতে পারেনি আফগানরা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের পঞ্চম বলে আউট হয়ে ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে আটকে যান গুরবাজ। দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন ঘটলো।
রহমত শাহ’কে ফেরাতেও সময় লাগেনি মোস্তাফিজুর রহমানের। দলের রান ৩০ থাকতে রহমতকে ফিরিয়েছেন এই পেসার। উইকেটের পেছনে মুশফিকুরের হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন এই ব্যাটার।
পরের ওভার করতে এসেই মোস্তাফিজ অভিষিক্ত সেদিকউল্লাহ আতালকে ফিরিয়েছেন। লেগ বিফোরের শিকার হয়ে ২১ রান করে বিদায় নেন এই ব্যাটার। একই ওভারে আর দুই বল পরই আজমতউল্লাহ ওমরজাই এর উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ।
১৪তম ওভারে গিয়ে অর্ধশত রান পূর্ণ করে আফগানিস্তান। হাশমতউল্লাহ শহীদি ও গুলবাদিন নাইব মিলে অল্প অল্প করে সত্তরের ঘরে রান ঠেকতেই ফিরে যান নাইব। তাসকিনের শিকার হয়ে তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২২ রানে বিদায় নেন এই ব্যাটার।
এরপর হাশমতউল্লাহর সঙ্গে যুক্ত হন মোহাম্মদ নবী। এই দুই ব্যাটার মিলেই মূলত আফগানদের দুরবস্থা কাটাতে সাহায্য করেন। দুজনের শতরানের জুটিতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়ে যায় দলটি। দলের রান ১৭৫ হতে, ৫২ রান করে মোস্তাফিজের চতুর্থ শিকার হয়ে ফেরেন হাশমতউল্লাহ।
পরের ব্যাটারদের মধ্যে রশিদ খান ১১ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন শরিফুল ইসলামের ডেলিভারিতে। তখন ক্রিজে ছিলেন নবী। নতুন ব্যাটার নানগেয়ালিয়া খারোটেকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান ২০০ পেরিয়ে যায়।
৪৮তম ওভারে এসে তাসকিন আহমেদ পরপর দুই বলে নবী ও আল্লাহ গজনফরকে ফিরিয়ে দেন। নবীর ব্যাটে আসে ৭৯ বলে ৮৪ রান।
শেষ ওভারের চতুর্থ বলে দুই রান নিতে গিয়ে রানআউটের শিকার হন ফজল হক ফারুকী। খারোটে অপরাজিত ছিলেন ২৭ (২৮) রানে।
এম এইচ//