গুরুতর অসুস্থ লুৎফুজ্জামান বাবর, মেডিকেল বোর্ড গঠন
গুরুতর অসুস্থ দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) বন্দি বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। শ্বাসকষ্ট, জটিল কিডনি সমস্যা, মেরুদণ্ডে ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তিনি। সম্প্রতি অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তার চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডা. শামীম আহমদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার বরাবর পাঠানো বিএসএমএমইউ পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের (৬৫) চিকিৎসার জন্য আগামী ৯ নভেম্বর (শনিবার) বেলা ১১টায় চার সদস্যের চিকিৎসক সমন্বয়ক প্রেরণ করা হবে। তারা হলেন- ডা.সৈয়দ ফজলুল ইসলাম, ডা. মো. জাহিদুর রহমান ও ডা. খালিদ মাহমুদ মোরশেদ। এই চিকিৎসক দলের সার্বিক সমন্বয় করবেন শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা. দেলোয়ার হোসেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কারারুদ্ধ থাকার ফলে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ডজনখানেক রোগে ভুগছেন। তার মধ্যে অন্যতম রোগগুলো হলো- ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা, গ্যাস্ট্রিওসোপাজিল রিফ্লাক্স ডিজিজেজ (জিইডি), ইরিটেবল বাউল সিনড্রোম (আইবিএস), হাইপারটেনশন (এইচপিটি), স্পন্ডিওলাইসিস, পলিপ, আর্থাইটিস ও অস্ট্রিওপ্রোসিস। তার কিডনি বিনষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তিনি বহু ওষুধ খাচ্ছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। এরমধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এছাড়া ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। লুৎফুজ্জামান বাবর ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে আছেন। এ ছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ও তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
এসি//