আমদানি-রপ্তানি

ভারত হয়ে নেপালের বিদ্যুৎ আসছে বাংলাদেশে, শিগগির অনুমতি দেবে নয়াদিল্লি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানিতে ভারতের অনুমতি চেয়েছে নেপাল। কারণ ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপালকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে হবে। তাই নেপালের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে নয়াদিল্লি। শিগগির ভারত তাদের ভূখণ্ড হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির অনুমতি দেবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

চলতি মাসের ৩ থকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত সফর করেন নেপালের জ্বালানি ও পানিসম্পদমন্ত্রী দীপক খাড়কা। সফরকালে তিনি ভারতের বিদ্যুৎমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার ও পানিসম্পদমন্ত্রী সি আর পাতিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা জ্বালানি, পানিসম্পদ এবং সেচ বিষয়ে সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতের বিদ্যুৎ সরবরাহ অবকাঠামো ব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা হয়।

গত ৬ নভেম্বর ভারত সফর শেষে দেশে ফেরেন দীপক খাড়কা। পরে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে নেপাল। 

নেপাল বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ভারতের মাধ্যমে ১৫ জুলাই থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। তবে এ জন্য নেপালকে ভারতের সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ রপ্তানির অনুমতি পেতে হবে। এ বিষয়ে দীপক খাড়কা বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষ নেপালের অনুরোধকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে এবং শিগগিরই অনুমতি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর কাঠমান্ডুর এক হোটেলে নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য তিন দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ) এবং ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটেডের (এনভিভিএন) প্রতিনিধিরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

 ওই সময় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তার বক্তব্যে গণমাধ্যমকে বলেন,  এই চুক্তি আঞ্চলিক জ্বালানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি শুধু তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের বিষয় নয়, বরং আমাদের দেশগুলোর দীর্ঘমেয়াদি এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াও।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন