শুধু নির্বাচনের জন্য মানুষ জীবন দিয়ে অভ্যুত্থান ঘটায়নি : সারজিস
শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য দেশের দুই হাজার মানুষ জীবন দিয়ে অভ্যুত্থান ঘটাননি। তারা জুলুমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছে। গত ১৬ বছরে বিরক্ত হতে হতে তাদের পিঠ দেয়ালে লেগে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সহায়তা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস বলেন, মানুষ যাতে স্থায়ী ফল ভোগ করতে পারেন, সেজন্য সংস্কার করা হচ্ছে। তা নিয়ে কতিপয় লোক কি বলেছে, সেটা দেখার বিষয় নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল।নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যাবে না। সরকারকে তারা বলেছেনরাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচনে যেতে। তারা এটাও বলছেন না যেআগামী ৫-৬ বছর সংস্কার করেন। কিন্তু সংস্কারের জন্য ন্যূনতম একটা যৌক্তিক সময় লাগবে।
সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে এ ছাত্র নেতা বলেন, ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সংবিধান পাঁচ বছরের জন্য দেশের মানুষকে একটি ‘জনতার সরকার’উপহার দিতে পারেনি। সেই সাংবিধানিক সংস্কারও প্রয়োজন। ইশতেহার দিয়ে প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় আসে। কিন্তু পরে তারা ইশতেহার ভুলে যায়।
এর আগে, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ২৬ জনের মধ্যে ১৮ জনের পরিবারের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। সিলেট বিভাগের নিহতদের অনেকের পরিবারে একাধিক দাবিদার থাকায় তাদের সহায়তা পরবর্তীতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
এসময় সারজিস আলম জানান, সারাদেশ থেকে প্রায় ১৬০০ জনের বেশি শহিদ পরিবারের তালিকা তাদের কাছে এসেছে। যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিতদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে গিয়ে শহীদের পরিবারের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হবে।
আই/এ