আকাশে উড়ছে বিলুপ্ত ছিটমহলের শিক্ষার্থী শামীম এর তৈরি বিমান
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহলে স্কুল ছাত্র শামীম রানা একটি বিমান (উড়োজাহাজ) তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার তৈরি করা বিমানটি উড়ানো ও এক নজর দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন আশপাশের গ্রামের অনেক মানুষ। ইউটিউব দেখে এই বিমান তৈরি করেছেন বলে জানান এ শিক্ষার্থী।
স্কুলছাত্র ও উদ্ভাবক শামীম রানা জানান,বিগত এক বছর ধরে তিনি ইন্টারনেটে বিমান তৈরির কৌশল দেখেছেন। টিভিতে এমন প্রতিবেদন দেখে তার মধ্যেও বিমান তৈরির ইচ্ছে জাগে।
তার বিমানটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ড্রিম লাইনারের আদলে তৈরি করেছেন। ককসিটে তৈরি মূল বিমানটির লম্বায় ৫৬ ইঞ্চি। আর দুপাশের ডানা ৫০ ইঞ্চি লম্বা। ওজন ১ কেজি ৩০০ গ্রাম। ওই বিমানে ৯৪০ গ্রাম ওজনের ২টি ব্রাশলেস ড্রোন মোটর ব্যবহার করা হয়েছে। রিচার্জেবল লিপো ব্যাটারির শক্তিতে চালিত বিমানটি রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে গতি-ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বর্তমানে ওই বিমানটি তিন কেজি ওজন বহন করতে পারে।
তিনি জানান, বিমান তৈরিতে এ পর্যন্ত তার ১৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিমানটি আকাশে টানা ১০ মিনিট উড়তে পারে। এই বিমানটি হাফ কিলোমিটার রেঞ্জে চলতে পারে। তবে রেঞ্জ আরও বাড়ানো সম্ভব। টাকা জোগাড় হলে বিমানটিতে ১ থেকে ২ জন মানুষ নিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তৈরি করতে পারবে।
শামিম দাবি করেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে চীন ও আমেরিকার মতো উন্নত প্রযুক্তির মনুষ্যবিহীন প্লেন বানাতে পারবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তার স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বিমান তৈরি করবেন।
শামীম রানার বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, অর্থাভাবে প্রথমে নিষেধ করলেও। শামীম কথা শোনে নাই। পরে অনেক কষ্টে তাকে টাকা দেয়া হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে ৯ মাস পড়াশুনার পাশাপাশি বিমানটি তৈরি করেছে। এখন তার ছেলের তৈরি করা বিমানটি আকাশে উড়ছে। বিমানটি দেখতে প্রতিদিনেই বাড়ীতে মানুষে ভীড় জমে। এখন সত্যি খুবই ভালো লাগছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জানান, এক স্কুলছাত্র একটি বিমান তৈরি করেছে বিষয়টি জানি। নিঃসন্দেহে একটা ভালো কাজ করেছে। এটা ফুলবাড়ীর গর্ব। তার সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জেনে তাকে সহায়তা করার আশ্বাস দেন ইউএনও।
আই/এ