গাজার হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। হামাস নিধনের নামে দখলদার বাহিনীর নির্বিচার হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ ঝরছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে। তাদের হামলা থেকে ছাড় পাচ্ছে না শরণার্থী শিবির এবং হাসপাতালও। সবশেষ ইসরাইলি হামলায় গাজার নুসাইরাতে শরণার্থী শিবিরে ছয় শিশু ও পাঁচ নারীসহ ২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইদিন গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত লাহিয়ায় কামাল আদওয়ান হাসপাতাল-সংলগ্ন ইন্দোনেশিয়ান একটি হাসপাতালও ইসরাইলি হামলার শিকার হয়েছে, যেখানে একাধিক বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ৩০ জন।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইসরাইলি আগ্রাসনের শুরু থেকেই উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল হামলার শিকার হয়ে আসছে। হাসপাতালটির নার্সিং পরিচালক ডা. ঈদ সাব্বাহ আল জাজিরাকে জানান, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় হাসপাতালটিতে প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ইসরাইলি ট্যাঙ্কগুলি খুব দ্রুত গতিতে হাসপাতালের মাত্র ৫০ মিটারের মধ্যে চলে আসে। যাদের আমরা চিনতাম না; এমন কিছু লোক, বিভিন্ন পোশাক পরে এবং অস্ত্র ও স্পিকার নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেছিল। তারা হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুসাম আবু সাফিয়া এবং তার সহকর্মীদেরকে রোগী এবং চিকিৎসা কর্মীসহ পুরো হাসপাতাল খালি করতে বলেছিল। তারা তাদের ট্যাঙ্কগুলোর পেছনে চলে যেতে বলেছিল। তাদের এই নির্দেশের পরপরই, যেখানে সকল রোগী ও আহতদের সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। ইসরাইলি এই অপারেশনে হাসপাতালের ভেতরে ৩০ জন নিহত হয়, যার মধ্যে চারজন স্টাফ সদস্যও ছিলেন। তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
গেলো বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৬১২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৮৩৪ জন আহত হয়েছে। পাশাপাশি লেবাননে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৪ হাজার ৪৭ জন নিহত এবং ১৬ হাজার ৬৩৮ জন আহত হয়েছে।
এসি//