ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ার সেরা বাংলাদেশ
পরপর দুইবার এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব নিজেদের করে নিল বাংলাদেশের যুবারা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে লাল-সবুজের দল।
ভারতের সঙ্গে যখন কিছুটা রাজনৈতিক উত্তেজনা চলছে, তখন ৫৯ রানের এই জয়কে অনেকভাবেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের দর্শকরা।
বাংলাদেশ দল টস হেরে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৯৮ রান করে তারা। এই রান তাড়া করতে গিয়ে ভারতকে বেশ ভঙ্গুর দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয় তারা।
ভারতকে প্রথম ধাক্কা দেন পেসার আল ফাহাদ। দ্বিতীয় ওভারেই আয়ুশ মাত্রের উইকেট নেন তিনি। এরপর পঞ্চম ওভারে আলোচিত বৈভব সূর্যবংশীকে ফিরিয়ে দেন মারুফ মৃধা। তখন দলের রান ২৪।
অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান কেপি ও কার্তিকেয়া মিলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তার আগে দলে ২০ রান যোগ হতে রিজান হাসানের শিকার হয়ে ফেরেন আন্দ্রে সিদ্ধার্থ। আর ২১তম ওভারে তিন বলের মধ্যে ২ উইকেট শিকার করেন পেসার ইকবাল হোসেন ইমন। তখনই ভারতের কাছ থেকে ম্যাচটি একরকম বের করে নেয় বাংলাদেশ।
ভারত একটা সময় ৭ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানে অবস্থান করছিল।
তখনো প্রতিপক্ষ অধিনায়ক আমান মাঠে ছিলেন। তাকে বিদায় করার কাজটা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। ৩২তম ওভারে আমানকে বিদায় করার পর, বাকি দুই উইকেটও গেছে তামিমের ঝুলিতে।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের পক্ষে কালাম সিদ্দিকী ১৬ বলে ১ রান করে আউট হন। তিনে নামা আজিজুল হাকিম তামিমও আউট হন ১৬ রান করে। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরারও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। এদিন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়েছেন রিজান এবং শিহাব জেমস। ৬৭ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় শিহাব করেছেন ৪০ রান। ৬৫ বলে ৩ চারে রিজান করেছেন ৪৭ রান।
বাংলাদেশের সংগ্রহ আরও কম হতে পারতো। ১৬৭ রানেই ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশের নবম উইকেটে জুটিতে ফরিদ হাসান ও আল ফাহাদের কাছ থেকে আসে ৩১ রান।