আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ছাত্রদল নেতা হত্যা: ওসিসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে বর্তমান রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং ঘটনাকালীন শাহবাগ থানায় দায়িত্বরত ওসি মো. আবুল হাসানের নাম রয়েছে।  

২০১৮ সালে পুলিশের নির্যাতনে রাজধানীর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলন মারা যায় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।  ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৫(২) ধারায় এই অভিযোগ আবেদনটি করা হয়।

বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন নিহত মিলনের চাচা অলি উল্লাহ। মামলা গ্রহণের বিষয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— ঘটনাকালীন সময়ে দায়িত্বরত রমনা মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, ঘটনাকালীন সময়ে দায়িত্বরত শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার রায়, এসআই সাইদুর রহমান মুন্সি, এসআই অমল কৃষ্ণ ও এসআই শাহরিয়ার রেজা। মামলার আবেদনে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ পুলিশ সদস্যেকে আসামি করার আবেদন করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মিছিল থেকে রমনা থানা পুলিশ মিলনকে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে থানায় নিয়ে যায়।

পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে পুলিশি কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে এবং সেখানেও নির্যাতন করে। পরের দিন ৭ মার্চ মিলনকে জখম অবস্থায় আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। অপরদিকে, তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সময় বাদী তার হাতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম দেখতে পায়। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষিণের একটি টিম। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফের তার জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ডের পর থেকেই তিনি প্রচণ্ড অসুস্থতাবোধ করছিলেন।

কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কারা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে একজন সহকারী চিকিৎসক তার শারীরিক পরীক্ষা করে অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠান। ঢামেকে আনার পরপরই তার মৃত্যু হয়।

উম্মে রুম্মান 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন