জাতীয়

প্রকল্প বন্ধ করলে ৮ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে

বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল অনেক ব্যয়বহুল; পরিবেশ উপদেষ্টা

ছয়হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুত কেন্দ্র বসিয়ে রেখে ভাড়া দিতে হচ্ছে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে চুক্তি বাতিলের কথা বলাটা সহজ হলেও তা থেকে বের হয়ে আসাটা অনেক ব্যয়বহুল। চুক্তি বাতিল অতটা সহজ নয়। নাইকো চুক্তি বাতিল করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে হয়েছে। তবুও অন্তর্বর্তী সরকার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। চুক্তিগুলো এখন পর্যালোচনার মধ্যে আছে।‘বাংলাদেশের জ্বালানি সমৃদ্ধি-২০৫০’ বিষয়ে দ্বিতীয় জ্বালানি সম্মেলনে এ কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। 

আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর)  রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে তিন দিনের এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনটির আয়োজন করেছে কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সমন্বিত জোট বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি)।

সেখানে উপদেষ্টা আরো বলেন, অনেকের বক্তব্যে আগের সরকারের কিছু চুক্তি বা প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে।প্রথম থেকেই এগুলো বিরোধিতার মুখে ছিল। বাস্তবায়ন করা প্রকল্পগুলোর  ঋণের বোঝাও টানতে হচ্ছে। বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি একই সময়ে জ্বালানি রূপান্তরেরও একটা চাপ আছে। যেমন অসম চুক্তি হয়েছে, অস্বাভাবিক খরচে করা হয়েছে, তার দায় বহন করতে হচ্ছে। ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ (ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ) করতেই সরকারের অনেকটা সময় লাগছে।  

এসময় বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি বাতিলের বাস্তবতা নিয়ে কথা বলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ম তামিম। তিনি বলেন, চুক্তিগুলো এমনভাবে করা হয়েছে যে একটি প্রকল্প বন্ধ করতে গেলে ৮ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে। অনেক চুক্তি দীর্ঘমেয়াদি। মেয়াদের আগে চুক্তি বাদ দিতে গেলে আর্থিক জরিমানা ও আইনগত ঝামেলা আছে।  আছেই।

ম তামিম আরও বলেন, এখন সাত হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র সার্বক্ষণিক চলছে। ছয় হাজার মেগাওয়াটের মতো বড় কেন্দ্র বসিয়ে রেখে কেন্দ্রভাড়া দিতে হচ্ছে। এটা কি বাদ দেওয়া যাবে? গরমের সময় তো এগুলো লাগবে। সত‍্যিকার পরিকল্পনা করে এ খাত আগানো হয়নি। তাই রূপান্তরের ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। দক্ষতা উন্নয়ন ও সাশ্রয়ে গুরুত্ব কম। এখানে মনোযোগ দিতে হবে।

বিডব্লিউজিইডির সদস্যসচিব হাসান মেহেদী সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন। 

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন