মহান বিজয় দিবসে যেসব কর্মসূচি পালন করবে সরকার
মহান বিজয় দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য এবার সরকার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর সকালে রাজধানী ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারাও স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এছাড়াও, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনৈতিকরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনার পাশাপাশি ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোকে জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। এছাড়া এসব স্থানে আলোকসজ্জার মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হবে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাণী প্রদান করবেন। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে, এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
এছাড়াও, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি এবং অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে স্থানীয় চারু, কারু ও উৎপাদিত শিল্প পণ্যের প্রদর্শনী থাকবে। শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হবে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
বঙ্গভবনে দুপুরে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা জানানো হবে এবং মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদেরও সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে, এবং দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে, যাতে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।
এছাড়া, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, এবং সিনেমা হলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে বিনামূল্যে।
এসি//