আন্তর্জাতিক

বিমান হামলা নিয়ে মুখ খুললেন জোলানি

সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যে অযৌক্তিক উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে ইসরাইল

সিরিয়ার ইসলামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন দেশটির ইসলামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাতের নেতৃত্ব দেওয়া এই নেতা শনিবার ক্ষমতাগ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ইসরাইল সম্পর্কে কথা বলেছেন।

সিরিয়ার টিভি নিউজ চ্যানেলের সাথে এক সাক্ষাত্কারে, আল-জোলানি বলেন, সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর জন্য ইসরাইলের আর কোন অজুহাত নেই এবং সাম্প্রতিক আইডিএফ সিরিয়ার মাটিতে হামলা লাল রেখা অতিক্রম করেছে এবং এই অঞ্চলে একটি অযৌক্তিক উত্তেজনা বৃদ্ধির হুমকি দিয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

ওই সাক্ষাতকারে বিদ্রোহী নেতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এড়াতে এবং সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের সম্মান নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানান। ইসরাইলের নাম সরাসরি উল্লেখ না করে, তিনি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হিসেবে কূটনৈতিক সমাধান এবং অপরাধমূলক সামরিক পদক্ষেপের বিকল্পের উপর জোর দেন।

প্রসঙ্গত, বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় কঠোর সামরিক হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলে অন্তত ৪৮০টি বিমান হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয়,  ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার দুই দেশের মধ্যকার বাফার জোন থেকে এগিয়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে স্থলবাহিনী মোতায়েন করেছে ইসরাইল।

ইসরাইলের এই তৎপরতা ভালভাবে গ্রহণ করেনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সিরিয়া সীমান্তে বাফার জোনে ইসরাইলের দখল, সামরিক হামলার পদক্ষেপে তারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

তবে সিরিয়ায় বিমান হামলার বিষয়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,  তারা সিরিয়ার সংঘাতে জড়িত হবে না এবং ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাফার জোন দখল একটি প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ এবং একটি অস্থায়ী পদক্ষেপ যতক্ষণ না এটি সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন