ক্যারিবিয়ান মাটিতে অল্প পুঁজির স্মরণীয় সিরিজ জয়
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৭ রানের জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ১০২ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
এই জয়ে ৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
সেন্ট ভিনসেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ছিল সিরিজে ফেরার লড়াই। টসে জিতে তারা ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না, অল্প রানে বাংলাদেশকে আটকে দেয়াতে তা বোঝা যায়।
ক্যারিবিয়ানরা হয়তো এখন আক্ষেপ করতে পারেন আরও অল্প রানে না আটকানোর। শামীম হোসেন পাটোয়ারী যে ১৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছেন, তা শেষদিকে বাংলাদেশকে সবচেয়ে স্বস্তি দিয়েছে।
এর আগে টপ অর্ডারে লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসানরা ব্যর্থ হয়েছেন। মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক ধীর লয়ে খেলেছেন। মিরাজ ২৫ বলে ২৬, জাকের ২০ বলে ২১ রান করেন। এই ম্যাচে তাদের এই ইনিংসের গুরুত্ব কম না।
পুরো বিশ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বল হাতে গুদাকেশ মোতি সর্বোচ্চ ২ উইকেট সংগ্রহ করেছেন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচের মতোই বল হাতে ক্যারিবিয়ানদের নাকাল করেছে লাল-সবুজের দল। দলীয় ৪২ রানেই উইন্ডিজদের ৬ উইকেট তুলে নেয় সফরকারীরা।
শেখ মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদরা ছিলেন উইকেট নেয়ার নেতৃত্বে। একপাশে বাঁধ সেজে বসেন অবশ্য রস্টন চেজ, অন্যপাশে আকিল হোসেন।
তাই ছয় থেকে উইকেটসংখ্যা সাত যখন হয়, উইন্ডিজদের রান তখন ৮৯। রিশাদ হোসেনের ডেলিভারিতে রস্টন ৩২ (৩৪) রান করে বিদায় নেন। একই ওভারে রিশাদের পরের ডেলিভারিতে ফিরেছেন গুদাকেশ।
স্বাগতিকরা আর বিপদ থেকে মুক্তি পায়নি। এর পরের ওভারেই তানজিম সাকিবের শিকার হয়ে ফিরেছেন আলজারি জোসেফ। শেষ উইকেট হিসেবে আকিলকে ৩১ (৩১) রানে ফিরিয়েছেন তাসকিন। ওবেদ ম্যাকয় ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে তাসকিন একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন। মেহেদী হাসান, তানজিম হাসান ও রিশাদ হোসেন ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এম এইচ//