গঠিত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ঢাকায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে এ অধিদপ্তর করা হচ্ছে।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গেলো জুলাইয়ের শুরুতে ছাত্রদের আন্দোলন রাজপথে গড়ায়। এটি এক পর্যায়ে গণআন্দোলনে রূপ নেয় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। এতে ৫ আগস্ট জনরোষে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। অবসান ঘটে প্রায় সাড়ে ১৫ বছরের দুঃশাসনের। ৫ আগস্ট এই আন্দোলন চূড়ান্ত সফলতা লাভ করলেও ছাত্র-জনতা এর নামকরণ করে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ নামে। ৫ আগস্টকে ‘৩৬ জুলাই’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
এসি//