আন্দোলনকারীদের ‘গুপ্তহত্যার’ প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া আন্দোলনকারী তিন শিক্ষার্থীকে গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিল থেকে এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ব্যানারে মিছিলটি শুরু হয়।
জানা যায়, সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত ও ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানসহ তিনজন।
এসব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বের হওয়া মিছিলটি ভিসি চত্বর ও হলপাড়া হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, যে বিপ্লবীদের কাঁধে ভর দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো, সেই বাংলাদেশে বিপ্লবীদের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকে।বিপ্লবীদের রক্ত মাড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ক্ষেত্রে নির্বিকার–নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। এটা অশনিসংকেত।
সরকারকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার স্বপ্নের কথা, প্রত্যাশার কথা আপনারা ভুলে গেছেন। ছাত্র–জনতার ম্যান্ডেট নিয়ে এ দেশে রাজনীতি করতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মঞ্জু বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
সমাবেশ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মাত্র ছয় দিনের ব্যবধানে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামা একজনের নির্মম মৃত্যু আমাদের সমাজের নিরাপত্তাব্যবস্থার ভয়ানক চিত্র তুলে ধরেছে। ওয়াজেদ সীমান্ত ও তাজবির হোসেন শিহানের মতো স্বপ্নময় তরুণেরা দুর্বৃত্তদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন, যা একদিকে জাতির ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করছে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি উউলেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই, অপরাধীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করুন। রাজধানীসহ সারা দেশে টহল জোরদার করুন, যাতে আর কোনো মা-বাবার সন্তান এভাবে প্রাণ না হারান।’
আই/এ