পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজনদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: তদন্ত কমিশন
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি 'গণহত্যা'য় সন্দেহভাজন যারা দেশের বাইরে রয়েছে, তাদের ফেরাতে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত তদন্ত কমিশন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে পিলখানায় অনুষ্ঠিত কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান কমিশন প্রধান ও বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক এ এল এম ফজলুর রহমান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কমিশনের প্রধান বলেন, প্রথম বৈঠকে নিজেদের পদমর্যাদা ও তদন্ত কীভাবে এগোবে, সেসব বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তিন মাস সময়ের মধ্যে যতোটুকু সম্ভব স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত কাজ এগিয়ে নেয়া হবে।
এ এল এম ফজলুর রহমান বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কাজ করেছে বলে অভিযোগ আছে। এজন্য কারা এর পেছনে ছিল, তা খতিয়ে দেখে তাদের বিষয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কাজ চলবে।
গেলো ৫ আগস্টের পর সন্দেহভাজনদের অনেকে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন উল্লেখ করে তদন্ত কমিশনের প্রধান বলেন, ‘তাদের ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে কমিশন। আর কমিশন মনে করলে যে কারও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হতে পারে। তবে কোনো দেশকে নির্দিষ্ট করে দায়ী করতে চায় না কমিশন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সাত সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। বিডিআর এর (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক এ এল এম ফজলুর রহমানকে কমিশনের সভাপতি করা হয়।
কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সাইদুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, সাবেক উপ–পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এম আকবর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ খান।
এমআর//