সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
সংস্কার বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন। এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক জাতীয় সংলাপে ভিডিও বার্তায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’।সংস্কারের কাজে সব নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।
তিনি বলেন, সংস্কারের কাজটা নাগরিকদের জন্য সহজ করতে ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন সরকার জানুয়ারি মাসে পেয়ে যাবে। প্রত্যেক সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রধান বিকল্পগুলো চিহ্নিত করে তার মধ্য থেকে একটি বিকল্পকে জাতির জন্য সুপারিশ করা।
তিনি আরও বলেন, তবে কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করলেই সবাইকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এজন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর দ্রুত সফলভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদেরকে সব শক্তি নিয়োজিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সব ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা, এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা’।
সরকার প্রধান বলেন, এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সব ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা। এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একইসঙ্গে চলবে। নির্বাচন আয়োজন করবে কমিশন। নির্বাচনের তারিখ না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের সময় দিতে হয় না, তবে সংস্কারের কাজে সব নাগরিককে অংশ নিতে হয়।
আই/এ