‘প্রমাণ হলো তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো ষড়যন্ত্রমূলক’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
রোববার (০৫ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কায়সার কামাল বলেন, "তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরে হাইকোর্ট মামলাগুলো স্থগিত করে রুল জারি করে এবং শুনানির পর এগুলো খারিজ করে দেয়া হয়। আদালতের আদেশে স্পষ্ট হয়েছে যে, এসব মামলার কোনো আইনগত ভিত্তি ছিল না, তাই এগুলো বাতিল করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, ওয়ান ইলেভেন এবং শেখ হাসিনা সরকারের সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দায়ের হয়েছিল, সবগুলোই ছিল মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক।"
তিনি আরও বলেন, "আগে হাইকোর্ট তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা চারটি মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছিল, তবে আজ সেই আপিল খারিজ হয়ে গেছে। এর ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকল, এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব মামলা আর চলবে না।"
আজ আপিল বিভাগের বেঞ্চও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এসময় তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নাল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানায় ব্যক্তিগতভাবে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এসব মামলার বৈধতার বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ (ক) ধারায় হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল।
গেলো বছরের ২৩ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চারটি মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছিল।
এসি//