চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন ভারত থেকে মুক্তি পাওয়া ৯০ জেলে ও নাবিক
সম্প্রতি ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক ৭৮ জেলে-নাবিকসহ ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৯০ বাংলাদেশি চট্রগ্রামে এসে পৌছেছেন। এসময় ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক ‘এফভি লায়লা-২’এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’নামের দুটি মাছ ধরা জাহাজও ফেরত এসেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পতেঙ্গার কর্ণফুলী চ্যানেলের ১৫ নং ঘাটে এসে পৌঁছান তারা। কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর দুপুরে বাংলাদেশের সমুদ্রে মাছ ধরার সময় দুটি ট্রলারসহ ৭৮ জন জেলে-নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। ঘটনার পরদিন খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সমুদ্র থেকে ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মালিকপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছিলো। আটক দুটি নৌযান হলো ‘এফভি লায়লা-২’ও ‘এফভি মেঘনা-৫’।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের অধিনায়ক জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি ফিশিংবোট এফভি কৌশিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ে ডুবে যায়। বোটটির ১২ জেলেকে উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্টগার্ড। পরে তাদের ভারতে নিয়ে যায়। এছাড়া ৯ ডিসেম্বর এফভি লাইলা-২ ও এফভি মেঘনা-৫ নামে দুটি জাহাজ ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। তাদের অভিযোগ ছিল ভারতীয় জলসীমায় মাছ ধরছিল জাহাজ দুটি।
তিনি জানান, এ ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেরাতে উদ্যোগ নেয়। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে বন্দি বিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়। বন্দি বিনিময়ের দায়িত্বটি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে দেয়া হয়।
আলোচনার প্রেক্ষিতে গত ৫ জানুযারি বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা এলাকায় বাংলাদেশে বন্দি ৯৫ জন ভারতীয় জেলে ও ৬টি বোট ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একইভাবে ভারতে থাকা ৯০ জন জেলে এবং দুটি ফিশিংবোট কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। ইতোমধ্যে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেঘনা-৫ এর প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল আলম জানান, পরিবারের কাছে ফিরতে পেরে আনন্দ লাগছে। বন্দি থাকা অবস্থায় কখন ফিরতে পারবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিলো। এছাড়া অন্য কোনও সমস্যা হয়নি।
আই/এ