দেশজুড়ে

কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে আটক ৩

কক্সবাজারের চকরিয়ার প্যারাবনে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার আবদুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭) ও কলেজপাড়া এলাকার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল (২৩)।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়। চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি কিশোরী।

কিশোরীর পরিবারের লোকজন বলেন, গেলো রোববার রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরী বাঁশখালী থেকে ফিরছিল। এ সময় বদরখালী বাজারে বাস থেকে নামার পর মহেশখালীগামী সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশায় উঠে। পথে বদরখালী সেতুতে গাড়ি নষ্ট হয়েছে বলে চালক ওই কিশোরীকে নামিয়ে দেন।

এরপর কিশোরী পায়ে হেঁটে সেতু পার হচ্ছিল। এ সময় সেতুর পূর্ব অংশে দুজন যুবক তার গতি রোধ করে। পরে আরেকজন যুবক এসে ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে তার মুখ চেপে ধরে বেড়িবাঁধের নিচে প্যারাবনে নিয়ে যায়। সেখানে চার থেকে আটজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফিরলে সে হামাগুড়ি দিয়ে পাশের সড়কে উঠে চিৎকার দিয়ে লোক জড়ো করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

ওসি মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে এবং ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে ওই কিশোরীকে আদালতে নেয়া হবে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন